এইচএসসি ২০২৩ | আইসিটি (প্রথম অধ্যায়) | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
ঢাকা বোর্ড -২০২৩
ক) যে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পারমাণবিক বা আণুবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি ও সুনিপনভাবে লাগানো হয় তাকে ন্যানোটেকনোলজি বলে।
(খ) আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর মাধ্যমে বর্তমানে ড্রাইভারবিহীন গাড়িতেও যাতায়াত করা
যায়।
মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি কৃত্তিমভাবে কম্পিউটারের যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে দেওয়াকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বলে। মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি যন্ত্রের মাধ্যমে দিয়ে দেওয়ার ফলে যন্ত্রটি সয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে যা মানুষ করতো। ঠিক তেমনি গাড়িতেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট সেটাপ করে দেওয়ার কারনে ড্রাইবার যে ভাবে গাড়ি চালাতো আর্টিফিশিয়াল প্রযুক্তি সেই ভাবে গাড়ি চালাতে পারবে।
তাই বলা যায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেকিজেন্ট এর মাধ্যমে বর্তমানে ড্রাইভারবিহীন গাড়িতেও যাতায়াত করা যায়।
(গ) উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ? চিহ্নিত স্থানের প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন আলাদা করে অন্য একটি জিনে স্থানান্তর করাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন জিনের সংক্রমন গঠিয়ে উন্নত জাতে জীব, উন্নত ফসল সৃষ্টি করা যায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
উদ্দীপকে দেওয়া আছে বতুন জীবকোষ সৃষ্টি, হাইব্রিড শস্য ও দুধে আমিষের পরিমান বাড়ানো যা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ।
তাই বলা যায় যে উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ? চিহ্নিত স্থানের প্রযুক্তিটি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
(ঘ) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে দৃশ্যকল্প-২ এ উল্লেখিত প্রযুক্তিটি হলো রোবট। নিম্নে নিচে রোবটের ভূমিকা মূল্যায়নগ করা হলো।
উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ দেওয়া আছে বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে তাদের নিরাপত্তা, গবেষণা---এমনকি বিনোদনের ক্ষেত্রেও মানুষের ব্যবহার সীমিত করে নিয়ে আসছে। প্রযুক্তির জগতে এটি "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব" নামে পরিচিত। যা রোবটের বিশিষ্ট।
রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন ব্যাক্তি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়ে কাজ করে। রোবটের সাহায্যে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের জটিল ও সময় সাপেক্ষ কাজ গুলো খুবই সহজে এবং দ্রুত করিয়ে ফেলে। যার ফলে যেমন তাদের সময় কম লাগে তেমনি খরচও কম হয়। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যও খুব দ্রুত এগিয়ে যায় রোবটের মাধ্যমে। ফলে শিল্পের উন্নতি সাধনের মাধ্যমে হয় শিল্প বিপ্লব।
তাই বলা যায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে রোবটের ভূমিকা অপরিহার্য।
যশোর বোর্ড-২০২৩
ডাঃ রাজিব মেডিকেল কলেজের ব্যবহারিক ক্লাসে রোগী ছাড়াই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে হার্টের অপারেশনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তিনি লং টেনিস খেলতে গিয়ে লক্ষ্য করলেন অন্যান্য বলের তুলনায় এ বলের স্থায়িত্ব অনেক বেশি।
ক. ক্রায়োপ্রোব কী?
খ. "ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যন্ত্রের সাহায্যে করা সম্ভব”- বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের বলটি তৈরির প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি দক্ষ জনবল তৈরিতে কোনো ভূমিকা রাখবে কী? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
(ক)ক্রায়োপ্রোব হলো ক্রায়োসার্জারিতে ব্যবহৃত এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত আল্টাথিন সুচ ও মাইক্রো ক্যামেরাযুক্ত নল যা দিয়ে ক্ষতস্থান শনাক্ত ও প্রবেশ করিয়ে নির্ধারিত ক্রায়োজেনিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
(খ)বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজের অনেক ক্ষেত্র আছে। যেমন- কয়লা খনি, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর, ভূমিকম্প বা দুর্যোগপূর্ণ এলাকা, যুদ্ধক্ষেত্রে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, ভূমি মাইন শনাক্তকরণ, কলকারখানার অগ্নিসংযোগস্থল থেকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে মানুষের পক্ষে যে কাজ করা সম্ভব নয় তাই করে যন্ত্র তথা রোবট। রোবট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
(গ)উদ্দীপকে টেনিস বল তৈরির প্রযুক্তিটি হলো ন্যানোটেকনোলজি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে 1 থেকে 100 ন্যানোমিটার আকৃতির কোনো কিছু তৈরি করা এবং ব্যবহার করার প্রযুক্তিই হলো ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানো প্রযুক্তি দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ এবং বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পদ্ধতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আণবিক উপাদান থেকে শুরু করে ধীরে বড় কোনো জিনিস তৈরি করা যায়। অন্যদিকে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র পদ্ধতিতে একটু বড় আকৃতির কিছু থেকে শুরু করে তাকে ভেঙে ছোট করতে করতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আকৃতিতে পরিণত করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বৃহৎ স্কেলে পণ্যোৎপাদন সম্ভব হচ্ছে এবং উৎপাদিত পণ্য আকারে সূক্ষ্ম ও ছোট হলেও অত্যন্ত মজবুত, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই ও হালকা হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগামীতে দূরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি, প্রতিরক্ষায় ন্যানো রোবট, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, বিশ্বব্যাপী বৃহৎ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কার্যকরি ও সুস্তায় শক্তি উৎপাদনসহ পানি ও বায়ু দূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঘ)উদ্দীপকে ব্যবহারিক ক্লাসে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
দক্ষ জনবল তৈরিতে এ প্রযুক্তির ভূমিকা নিচে বর্ণনা করা হলো- যেকোনো কাজে সফলতার জন্য দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য পেশাজীবীদের বাস্তবসম্মত ও নিরাপদ প্রশিক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসা, গাড়ি বা বিমান চালনা, সামরিক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রগুলোতে বিভিন্নভাবে শারীরিক কিংবা রিসোর্সগত যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেগুলো সহজেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নেয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাপর্দ করে তোলা সম্ভব। যেমন- বাস্তবে বিমান চালনা বা গাড়ি চালনায় দুর্ঘটনার শঙ্কা, চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক অপারেশনে রোগীর প্রাণ সংহারের আশঙ্কা কিংবা সামরিক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণে সরাসরি আহত বা নিহত হওয়ার শঙ্কাগুলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে পরাবাস্তব পরিবেশে একেবারেই নেই। কেননা এখানে সম্পূর্ণ কৃত্রিম পরিবেশ বা উপাদান ব্যবহার করে বাস্তবের ন্যায় অবিকল দৃশ্য, মডেল ও পরিবেশ তৈরি করা হয়, যেগুলো কোনো কিছুই বাস্তব নয় আবার বাস্তব না হলেও এগুলো পুরোপুরি বাস্তবের ন্যায় বিধায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার অভাবে প্রশিক্ষণটি অসম্পূর্ণ বা বিফলতায় পর্যবসিত হয় না। আর এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
সুতরাং সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
চট্টগ্রাম বোর্ড-২০২৩
দৃশ্যকল্প-১: সাম্প্রতিককালে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীতে বসেই কৃত্রিম পরিবেশে চন্দ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব হচ্ছে।
দৃশ্যকল্প-২: কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ক. ক্রায়োসার্জারি কী?
খ. "প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণ করা যায়"- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এর প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ বর্ণনা কর। ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এর প্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
(ক)ক্রায়োসার্জারি এক ধরনের কাটা ছেড়াবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রার গ্যাস মানব শরীরে প্রয়োগ করে অস্বাভাবিক বা অপ্রত্যাশিত রোগাক্রান্ত টিস্যু/ত্বক কোষ ধ্বংস করা হয়।
(খ)প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তি হলো বায়োমেট্রিক্স।
মানুষের দৈহিক গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হলো বায়োমেট্রিক্স। দৈহিক গঠন বা শারীরবৃত্তীয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিগুলো হলো- ফিঙ্গারপ্রিন্ট, হ্যান্ড জিওমেট্রি, আইরিশ স্ক্যানিং, ফেস রিকগনিশন ও ডিএনএ টেস্ট। অন্যদিকে আচরণগত পদ্ধতিগুলো হলো- কিবোর্ড টাইপিং গতি যাচাইকরণ, সিগনেচার যাচাইকরণ ও কণ্ঠস্বর যাচাইকরণ। এ প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে সহজেই অদ্বিতীয়ভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা যায়।
(গ)উদ্দীপকে দৃশ্যকল্প-১ এর প্রযুক্তিটি হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ নিচে বর্ণনা করা হলো-
১. বিনোদন ক্ষেত্রে: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এ ক্ষেত্রেব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। আজকালকার প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে নানা ধরনের কম্পিউটার গেম তৈরি করা হচ্ছে। মিউজিয়াম ও ঐতিহাসিক স্থানের দৃশ্যও তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
২. যানবাহন চালান ও প্রশিক্ষণে বিমান, মোটরগাড়ি, জাহাজ ইত্যাদি চালানোর প্রশিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সিম্যুলেটর ও মডেলিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ-সংশ্লিষ্ট কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বাস্তবের ন্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়।
৩. শিক্ষা ও গবেষণায়: শিখন-শেখানো কার্যক্রমে জটিল বিষয়গুলো সিম্যুলেশন ও মডেলিং করে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য ও চিত্তাকর্ষকভাবে উপস্থাপন করা যায়। গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন, জটিল অণুর আণবিক গঠন, ডিএনএ গঠন সিম্যুলেশনের মাধ্যমে দেখা যায়। ৪. চিকিৎসা ক্ষেত্রে জটিল অপারেশন, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন, ডিএনএ পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ নবীন শল্য চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও রোগ নির্ণয়ে ব্যাপক হারে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।
৫. সামরিক প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে সত্যিকার যুদ্ধক্ষেত্রের আবহ তৈরি করে সৈনিকদেরকে উন্নত ও নিখুঁত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়।
৬. ব্যবসা বাণিজ্য: উৎপাদিত ও প্রস্তাবিত পণ্যের গুণগতমান, গঠন, বিপণন, সম্ভাব্যতা যাচাই, মূল্যায়ন, বিপণন কর্মী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সব ধরনের কার্যক্রমে সিম্যুলেশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
ঘ)উদ্দীপকে দৃশ্যকল্প-২ এর প্রযুক্তি হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলাদেশের উন্নয়নে এ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ।কৃষির উন্নয়ন মানেই এ দেশের উন্নয়ন। কৃষি উন্নয়নকে সহজতর করতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্য ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করে খাদ্যশস্য বহুগুণে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি হাইব্রিড নামে বহুল পরিচিত। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অল্প সময়ে সুচারুরূপে স্থানান্তর করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তাগণের নিকট প্রচলিত প্রজননের তুলনায় এ প্রযুক্তিটি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। আমাদের দেশেও এ প্রযুক্তির উপর বেশ কিছু সংস্থা কাজ করে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের শস্যবীজ উৎপাদন করেছেন। এসব বীজ ব্যবহার করে শস্যও কয়েকগুণ হারে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। সম্প্রতি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স, আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশের সোনালী আঁশ পাট বিশ্বের দরবারে হারানো ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করতে যাচ্ছে। খাদ্যশস্য যেমন- ভুট্টা, ধান, তুলা, টমেটো, পেঁপেসহ অসংখ্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো, আগাছা সহিষ্ণু, পোকামাকড় প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। বিভিন্ন জাতের মৎস্য সম্পদ (বিশেষত মাগুর, কার্প, তেলাপিয়া ইত্যাদি) বৃদ্ধির জন্য জিন প্রকৌশলকে কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রাণীর আকার ও মাংস বৃদ্ধি, দুধে আমিষের পরিমাণ বাড়ানো, ভেড়ার পশম বাড়ানোর কাজে জিন প্রকৌশলকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্র ছাড়াও চিকিৎসা ও ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ভূমিকা রাখছে, যা দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করছে।
বাকিগুলি আপলোড করা হচ্ছে ......